জয় হিন্দ জয় বাংলা কাপ ক্রিকেট মন্তেশ্বরের মামুদপুরে

18th January 2020 বর্ধমান
জয় হিন্দ জয় বাংলা কাপ ক্রিকেট মন্তেশ্বরের মামুদপুরে


শান্তি ও সংহতির বার্তাকে তুলে ধরে নক আউট ক্রিকেট টুর্নামেন্ট হয়ে গেলো মন্তেশ্বরের মামুদপুর গ্রামে।‘জয় হিন্দ,জয় বাংলা’ কাপ এই টুর্নামেন্টের ফাইনালে চ্যাম্পিয়ণ হোলো কালনার বাঘনাপাড়া ক্রিকেট একাদশ।ফাইনালের অনুষ্ঠান মন্চে উপস্থিত ছিলেন মন্তেশ্বরের বিধায়ক সৈকত পাঁজা,পন্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রতিমা সাহা,সহ-সভাপতি আহম্মদ হোসেন সেখ,সমাজসেবী আজিজুল সেখ,ওসি সৈকত মন্ডল সহ বিশিষ্টজনেরা।বৃক্ষরোপণ ও চিলড্রেন পার্কের উদ্বোধনের মধ্য দিয়েই ফাইনাল খেলাটি শুরু হয়।
                        মন্তেশ্বরের মামুদপুরের ‘জয় হিন্দ,জয় বাংলা’ কাপের এই ক্রিকেট টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করে ষোলোটি দল।ফাইনালে ওঠে কালনার বাঘনাপাড়া ক্রিকেট একাদশ ও মন্তেশ্বরের বরুণা বাপি একাদশ।মৈত্রী সংঘের উদ্যোগে আয়োজিত এই টুর্নামেন্টের ফাইনালে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করে বাঘনাপাড়া ১৬ ওভারে ৯ উইকেটের বিনিময়ে ১১৭ রান তোলে।তার জবাবে ব্যাট করতে নেমে মন্তেশ্বরের বরুণা দল তিন ওভার বাকি থাকতে ৮৯ রানে অল উইকেট হারিয়ে পরাজিত হয়।খেলা শেষে চ্যাম্পিয়ণ দল বাঘনাপাড়া ক্রিকেট একাদশের হাতে পঁচিশ হাজার টাকা ও ট্রফি তুলে দেওয়া হয়।রানার্স দলকে পনেরো হাজার টাকা ও ট্রফি দেওয়া হয়।এই বিষয়ে মৈত্রী সংঘের সম্পাদক ফরিয়াদ মল্লিক বলেন,‘এন আরসি ও সিএএ-র আবহে অশান্তির বাতাবরণ তৈরী হচ্ছে।তাই একত্রিশ বছরে পদার্পণ করা আমাদের এই টুর্নামেন্টে সম্প্রীতি,শান্তি ও সংহতির বার্তাকে তুলে ধরেছি।পাশাপাশি বৃক্ষরোপণ ও চিলড্রেন পার্কের উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে এলাকার সবুজায়ণ ও খেলার পরিবেশ তৈরীর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’ওসি সৈকত মন্ডল বলেন,‘এই টুর্নামেন্টে হাজার-হাজার দর্শকের উপস্থিতি ছিলো সত্যিই নজর কাড়ার মতো।খেলার পরিবেশ তৈরীতে উদ্যোক্তাদের উদ্যোগও বেশ প্রশংসনীয়।এই ধরনের পরিবেশ তৈরী করতে পারলে আগামীদিনে ছাত্রছাত্রীরা খেলার ব্যাপারে বেশ উৎসাহী হবে।’





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।